সেন্ট মার্টিনে ১২১ ও টেকনাফে ১১৫ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করছে মোখা

সেন্ট মার্টিনে ১২১ ও টেকনাফে ১১৫ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করছে মোখা

ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করছে। টেকনাফে এখন ঝড়ের গতিবেগ ১১৫ কিলোমিটার। এটি যখন সেন্ট মার্টিন অতিক্রম করে, তখন এর গতিবেগ ছিল ১২১ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে সেন্ট মার্টিনে ১২১ ও টেকনাফে ১১৫ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করছে মোখা।’ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এটিকে আমরা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় নামে অভিহিত করেছি। পুরো ঝড় অতিক্রম করতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। এখন কেন্দ্রভাগ অতিক্রম করছে। এরপর বাকি অংশ পার হবে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়। এদিকে বেলা ১টা থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়তে শুরু করে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে পুরা টেকনাফ উপজেলায়। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। তবে অনেকেই ঝড়ের জন্য অপেক্ষা করে পরে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পাননি। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে গেছে টিনের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। সাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে, তবে এখন পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আসতে শুরু করেছে। অনেকেই ঝড়ের কারণে আটকা পড়েছে।