সিলেট টেস্টে বিশাল হারের তেঁতো স্বাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সিলেট টেস্টে বিশাল হারের তেঁতো স্বাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

স্পোর্টস ডেস্কঃ  সিলেট টেস্টে বিশাল হারের তেঁতো স্বাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনেই সেই হার চোখ রাঙাচ্ছে নাজমুল হাসান শান্তর দলকে। বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেটে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।

৫১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর ক্রিজে এসেও সুবিধা করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক শান্ত।

দলীয় ৯ রানে ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন শান্ত। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জাকির হাসান। তবে দলীয় ৩৬ ও ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

জাকির ২২ বলে ১৯, শাহদাত হোসেন দিপু ও লিটন দাস রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন তাইজুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

মুমিনুল ২৯ বলে ৭ ও তাইজুল ১৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজন ৪৬৪ রান। আর শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট।

এর আগে প্রথম ইনিংসের শ্রীলঙ্কার করা ২৮০ রানের জবাবে ১৮৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে শ্রীলঙ্কা। এরপর দিমুথ করুণারত্নে ও ধানাঞ্জায়া মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে ফিফটি করে দলীয় ১১৩ রানে ১০১ বলে ৫২ রান করে আউট হন করুণারত্নে।

এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান বিশ্ব ফার্নান্দো। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই লঙ্কান ব্যাটার।

দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নেন ধানাঞ্জায়া। এরপর দলীয় ২৯৯ রানে ১৭৯ বলে ১০৮ রান করে আউট হন এই লঙ্কান অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা প্রবাথ জয়সুরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন কামিন্দু।

ধানাঞ্জায়ার পর সেঞ্চুরির দেখা পান কামিন্দু। এরপর দলীয় ৩৬৬ রানে জোড়া উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রবাথ জয়সুরিয়া ৪৭ বলে ২৫ ও লাহিরু কুমারা রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে একপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দেড়শো রান পূর্ণ করেন কামিন্দু।

শেষ ব্যাটার হিসেবে ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করে কামিন্দু আউট হলে ৪১৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৫১০ রানের লিড পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ৪টি উইকেট।