কক্সবাজারে মা হরিণ ও শাবক উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

হরিণ শিকারীদের কাছ থেকে ক্রেতা সেজে মায়া প্রজাতির মা হরিণ একটি শাবক উদ্ধার করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ । মা হরিণ ও শাবকটি সুস্থ্য আছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ।
শুক্রবার (৩ডিসেম্বর) বাঘখালী রেঞ্জ এর বাঘখালী বিটের উখিয়ারঘোনা এলাকায় নাপিতের ঘোনা গ্রামের স্থানীয় রহমত উল্লাহর মালিকানাধীন চেীধুরী খামার থেকে হরিণগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে বাড়ির কাউকে আটক করতে পারেনি বনবিভাগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত কয়েকদিন আগে এই হরিণগুলো গভীর জঙ্গল থেকে জাল দিয়ে ধরা হয় । এগুরো কেনার জন্য এর আগেও বেশ কয়েকটি পার্টি এসেছিল তবে দামে না হওয়ায় তারা বিক্রি করেনি। শেষমেষ বনবিভাগের হাতে ধরা পড়লো।
বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বনবিভাগের একটি অভিযানিক টিম গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে হরিণগুলো কোথায় আছে তা নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় এই অভিযান পরিচালনা করে । বাঘখালী বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, সেভ দ্যা ন্যাচার বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও রামু থানার সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান।
রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান জানান, আমার কয়েকদিন জযাবন জানতে পারি রহমত উল্ল্হার চৌধুরী খামারে মায়া হরিন দুটি আটক কওে রাখা হয়েছে পাচার করার জন্য। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম ছব্দবেশে এই হরিণ কিনতে গেলে তাদের হরিণগুলো দেখানো হয়। তখন গোয়েন্দা টিম আমাদের খবর দিলে আমরা খামারে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে হরিণগুলো উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হস্তান্তর করি।

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, আজকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ দুটি হরিণ উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হস্তান্তর করেছে। হরিণ দুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। মা হরিণ ও শাবক সুস্থ আছে।
কক্সাবাজর উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, বন্যপ্রানী রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব্ । এখানে কিছু অসাধু বন্যপ্রাণী ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান,হরিণ আজ বিলুপ্তির পথে । আমাদেও কক্সবাজার অঞ্চওে আগে ঝাকে ঝাকে হরিণ দেখতে পেতাম তা আজ আমাদেও জন্য দুস্বপ্ন। এখানে বনবিভাগের উদাসীনতা রয়েছে। কারণ তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে হরিণগুলো বন থেকে খামার পর্যন্ত আসতে পারতো না। আমি মনে করি বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিৎ।