কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক

কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক

নগর ভয়েস আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দোহায় র‍্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানি। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল সানি বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। দোহায় র‍্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপাক্ষিক সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, কাতার বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায়। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ক্রয় করে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।’ জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে কাতার বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবে।

ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাঁদের সম্পদ এবং বন্ধু। তাঁদের যতটা সম্ভব কাতারে রাখা হবে। পরে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আবদুল মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫ বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে ২০২৫ সালের পর বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দরদাম-সংক্রান্ত সমস্যা ঠিক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন। বাংলাদেশকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে এবং যে দেশটি দুঃসময়ে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে, কাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তারা কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।