সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ১২নং ওয়ার্ড গড়তে এম.এ মনজুরের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

“কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড পর্যটন এলাকায় হওয়ায় এটির গুরুত্ব অপরিসীম। বছরের অধিকাংশ সময় এখানে লাখো পর্যটক আসে। তাই এই ওয়ার্ডকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে ডালিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী এম.এ মনজুরের বিকল্প নেই।” শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ডালিম প্রতীক তথা এম.এ মনজুরের সমর্থনে বিশাল জনসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, “আগামী ২৮ নভেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ—নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে এম.এ মনজুর সবার চেয়ে যোগ্য ও সুশিক্ষিত। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। সবসময় সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি মানুষের সুখে—দুঃখে পাশে ছিলেন। এলাকার শিক্ষা বিস্তারে তাঁর ভূমিকা অনন্য। কোনদিন কারও ক্ষতি করেননি। তাই কালো টাকার লোভে না পড়ে এম.এ মনজুরকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করার আহবান জানান বক্তারা।”

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের উপ—প্রচার সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা ডালিম প্রতীকের প্রার্থী এম.এ মনজুর বলেন, “নির্বাচিত হলে তিনি ১২নং ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজাবেন। নিশ্চিত করবেন পর্যাপ্ত নাগরিক সেবা। পৌর মেয়রের পরামর্শে অবহেলিত ১২নং ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক এলাকায় পরিণত করবেন। যাতে পর্যটকরা এখানে এসে সুন্দর ধারণা নিয়ে যেতে পারেন। এতে কক্সবাজারের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে দেশব্যাপী।”

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, “১২নং ওয়ার্ডকে মাদক, সন্ত্রাস, দখল ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে এলাকায় কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি অপরাধ নিমূর্লে গঠনমূলক কাজ করবে। তিনি লাইট হাউস দারুল উলুম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অবহিত করে বলেন, ইতোমধ্যে এখানে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। তাই এই কেন্দ্র ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

কাউন্সিলর প্রার্থী এম.এ মনজুর বলেন, এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনারা আমাকে যে ভালবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন তা কখনো ভুলার নয়, আমি তার জন্য এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। রক্ত দিয়ে হলেও আমি মানুষের এই ভালবাসার মর্যাদা রাখবো ইনশাআল্লাহ।”

আলহাজ¦ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মোরশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, সৈকত পাড়ার মোহাম্মদ আমিন, আদর্শ গ্রামের বদিউল আলম, লাইট হাউজ পাড়ার মোহাম্মদ আলম, আদর্শ গ্রামের আজিজুল হক, আদর্শগ্রামের মৌলানা জাবের আহামদ, কলাতলীর মোস্তাক আহমদ, কলাতলীর মোহাম্মদ কালু, ফাতের ঘোনার আবুল কাশেম খলিফা, কলাতলীর সুলতান আহামদ, কলাতলীর আব্দুল খালেক, কলাতলীর আব্দুল কাদের, কলাতলীর রফিকুল ইসলাম, লাইট হাউজ পাড়ার শাহেদ আলী শাহেদ, কলাতলীর নুরুল ইসলাম ও সৈকত পাড়ার রেহেনা আক্তার। কুরআন তেলাওয়াত করেন মৌলানা আবুল বশর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংবাদিক ফরহাদ ইকবাল, সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, ছৈয়দ বিন হাসান, ফরিদুল আলম, আবু ছৈয়দ হিরু, মোহাম্মদ আমিন, বাহার উল্লাহ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, নাফিস ইকবাল, মনছুর উদ্দিন, আশিকুল ইসলাম হিরু, তানভির ফয়সাল, মালেকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম ভুট্টো, ইয়াছির আরফাত, মোবারক হোসেন, হাজু মিয়া, মোহাম্মদ কালু নয়ন, শফিকুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ নাজিম হানিফ, শামশুল আলম, ছৈয়দ, রহিম প্রমুখ।

এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় আসতে থাকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জনসভাস্থল পরিণত হয় জনসমুদ্রে। এসময় সবার কণ্ঠে ডালিম প্রতীক তথা এম.এ মনজুরের জয়ধ্বনি উচ্চারিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে এম.এ মনজুরের পক্ষে সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার।

জানা গেছে, নির্বাচনে এম.এ মনজুরকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে মাঠে নেমেছেন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষ। এম.এ মনজুরের সমর্থনে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে তরুণ ও যুবকরা বিভিন্ন পাড়া—মহল্লায় প্রচার—প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নারীরাও পিছিয়ে ছিল না।