নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন,দিশেহারা সাধারণ মানুষ

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন,দিশেহারা সাধারণ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাজারে নিত্যপণ্যের দামে যখন আগুন লেগেছে, তখন এক সবজি বিক্রেতার টাঙ্গিয়ে রাখা বিজ্ঞপ্তিতে চোখ আটকে যায়। নগরের গরীবুল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় এই বিজ্ঞপ্তি।
সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম এর বাড়ি কুমিল্লায় হলেও বসবাস ওই এলাকায়। তিনি লিখে রেখেছেন-‘যাদের সবজি কেনার সামর্থ্য নেই, তারা আমার দোকান থেকে বিনামূল্যে কিছু সবজি নিতে পারেন’।

এক ক্ষুদ্র দোকানির এমন মহানুভবতার প্রশংসা করেছেন সবাই।
এদিকে ভোজ্যতেল নিয়ে তেলেসমাতির মধ্যে নতুন করে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে আটা ও ময়দার দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন ও পাম তেল সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না।

অপরদিকে বাণিজ্যিক খামারে চাষ করা বিভিন্ন মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা। নদী ও খাল বিলের মাছের দাম অন্য সময়ের চেয়ে কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। মাছের কেজি (আকারভেদে) ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। বিক্রেতারা জানান, কিছুদিন আগেও এই মাছের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মাঝারি আকারের রুই, কাতল, মৃগেল ও কালবাউশের দাম এখন ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত মাসেও এই দর ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ছিল। ব্রয়লার মুরগির দামও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা।বাজারে এমন দাম দেখে সাধারণ মানুষ অনেকটা দিশেহারা অবস্থা। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হলে  নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে বলে মনে করেন তারা।